১। গাছ মধ্যম উচ্চতা সম্পন্ন ইন্টারমিডিয়েট টাইপ এবং গাছের বিস্তৃতি নির্ধারিত।
২। গাছ কিছুটা খাড়া প্রকৃতির ও শাখা প্রশাখা খুবই কম। কান্ড সবুজ মাঝারি ধরনের মোটা এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি খুব বেশি।
৩। পাতা মাঝারি আকারের ও পত্রফলকের বিন্যাস মধ্যম প্রকৃতির। পাতা গাঢ় সবুজ এবং মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি খুব বেশি।
৪। পত্রফলক খুব কম ঢেউ খেলানো। পত্রফলক মধ্যম আকারের এবং মাঝারি ধরনের চওড়া এছাড়া পত্রফলকের উপরের দিকের মসৃণতা মাঝারি।
৫। পত্রফলকের একত্রিত হওয়ার সংখ্যা মাঝারি প্রকৃতির। পত্রফলকের শীর্ষ মুকুলে রঞ্জনের উপস্থিতি নেই।
৬। মধ্য শিরায় উপপত্রের সংখ্যা বেশি। শীর্ষের পত্রফলকে উপপত্রের সংখ্যা মাঝারি। পার্শ্বের পত্রফলকে মাঝারি সংখ্যক বড় আকারের উপপত্র দেখা যায়।
৭। আলু লম্বা ডিম্বাকৃতির ও বড় আকারের। আলুর চামড়া মসৃণ ও রং গোলাপী লাল, শাঁসের রং সাদা। আলুতে চোখ অগভীর এবং সমভাবে বিন্যস্ত।
চাষাবাদ পদ্ধতিঃ
১ । চাষের সময় ও সার প্রয়োগ পদ্ধতি
: উপযোগী এলাকা : সমগ্র বাংলাদেশ।
বপনের সময় : মধ্য-কার্তিক থেকে মধ্য-অগ্রহায়ণ (নভেম্বর) মাসে আলু লাগানোর উপযুক্ত সময়।
মাড়াইয়ের সময়: ৮০-৮৫ দিন পর ।
সার প্রয়োগ পদ্ধতিঃ গোবর (৮-১০ টন), অর্ধেক ইউরিয়া, টিএসপি, এমপি, জিপসাম ওজিংক সালফেট (প্রয়োজনবোধে) রোপনের সময় জমিতে মিশিয়ে দিতে হবে। বাকি ইউরিয়া রোপণের ৩০-৩৫ দিন পর অর্থাৎ দ্বিতীয় বার মাটি তোলার সময় প্রয়োগ করতে হবে। অমস্নীয় বেলে মাটির জন্য ৮০-১০০ কেজি/হেক্টর ম্যাগনেসিয়াম সালফেট এবং বেলে মাটির জন্য বোরন ৮-১০ কেজি/হেক্টর প্রয়োগ করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়।